আয় রে আমার কাজ্লা মানিক, আকাশ ব্যেপে ঝেঁপে আয়!
তপ্ত পাষাণ বুকের 'পরে পড় ঝরে তোর হৃদ্ - ধারায়!
তপ্ত পাষাণ বুকের 'পরে পড় ঝরে তোর হৃদ্ - ধারায়!
সোনা - ভরা ঐ আঁচল পিছে কত কালশিরা মর্মে তোর,
যুগে যুগে ক্লেশ কশাঘাত হানি করেছে কোমল অঙ্গ ঘোর!
সুখ - সকালের নীল বসনা! মুখ বুজে সব যাস সয়ে,
বুকফাটা তোর রক্ত ধারা ঝরছে সোনা রোদ হয়ে!
উজল হাসির তপ্ত ফাঁসি পরবি কত গলায় আর?
ছিঁড়ে ফেল ফাঁপা সুখের মুখোশ, টুটুক শিকল হৃদ - কারার!
লজ্জাবতী লতা আমার! কাঁটার বর্ম জাগিয়ে তোল!
পড়ুক ফেটে তোর ব্যথা, হয়ে অত্যাচারীর কাঁদন - রোল!
আর সোনা নয়, হীরক - তীক্ষ্ণ বিদ্যুল্লতা তোল গলায়
নরম স্বরের ভীম হুংকারে কাঁপিয়ে দে আজ এ ধরায়!
অনেক হল বেদন - গরল নীলকণ্ঠের হাসি হায়,
লাজ ছেড়ে আজ হিয়ার বরিষ দগ্ধ চোখে ঝরাই আয়!
© All rights reserved.
Comments
Post a Comment
Please let us know what do you think about it.